বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১
The Daily Post

যশোরে গুলি করে প্রবাসীকে হত্যা 

যশোর প্রতিনিধি

যশোরে গুলি করে প্রবাসীকে হত্যা 

যশোরের এক প্রবাসীকে মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বত্তরা। নিহতের নাম মেহের আলী (৪৫)। গত শুক্রবার রাতে যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের বাদিয়াটোলা পশ্চিম পাড়া গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত মেহের আলী ওই এলাকার আব্দুল মালেক মণ্ডলের ছেলে। 

তিনি  চলতি বছরের ২৬ জুলাই কুয়েত থেকে দেশে ফিরেছেন। প্রবাসে থেকে তিনি হাদিয়া নামক স্থানে একটি প্রতিষ্ঠান কাজ করতেন। কুয়েতে যাওয়ার আগে তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সংক্রিয় কর্মী ছিলেন। পরিবারের স্বজনের দাবি, চাঁদাবাজি ও রাজনৈতিক কোন্দলে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। 

নিহত স্বজনেরা জানিয়েছেন, গত দুদিন ধরে মেহের আলী যশোর সদরের বাহাদুরপুর এলাকার আনোয়ার হোসেন নামে তার এক খালু শ্বশুরের বাড়িতে ছিলেন। ঘটনার দিন গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মেহের তার বাড়িতে ফেরেন। 

এদিন বাড়িতে রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে বাড়ির কলাপসিবল গেটে তালা দিতে আসলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুবৃর্ত্তরা গেটের সামনে এসেই মাথায় গুলি করে পালিয়ে যান। গুলির শব্দ শুনেই স্বজনেরা দ্রুত উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আনলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

নিহতের ছোট ভাই আবু আব্দুল্লাহ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার ভাই মেহের আলীসহ তিন ভাই বিদেশে থাকি। বিদেশ যাওয়ার আগে ভাই বিএনপির রাজনীতি করতো। স্থানীয় আ.লীগের নেতারা মিথ্যা মামলা দিয়ে বিভিন্ন সময়ে জেলও খাটিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ভাইয়ের কাছে নেতাকর্মীরা চাঁদাও দাবি করতো। কিন্তু ভাই দিতে চাইতো না। 

তাই স্থানীয় আ.লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কিছু দ্বন্দ্ব ছিলো। এর মধ্যে দির্ঘদিন পর গত ২৬ জুলাই আমার ভাই দেশে ফিরেছে। গত সোমবার সেসব নেতাদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়েছে শুনেছি। এসব রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব্বের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছি। এই হত্যা পূর্বপরিকল্পিত। কেননা আমার ভাইয়ের বাড়ির চারিপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। তবে যারা মেরেছে, তারা আগে থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা কেটে দিয়েছে। 

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. খন্দকার রেজয়ান উদ দারাইম জানান, গুলিবিদ্ধ মেহের আলীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনেন স্বজনরা। তার মাথার পিছনের দিকে ডান সাইটে গুলি লেগেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। যশোর কোতয়ালী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কি কারণে হত্যা করা হয়েছে, সুদিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। পুলিশ তদন্ত করছে। 

টিএইচ